রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থান - রাঙ্গামাটি জেলার ১১ টি দর্শনীয় স্থান

ঘুরতে যাওয়ার আগে থেকেই রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলা হলো সবথেকে সুন্দর এবং দর্শনীয় স্থান এর দিক থেকে সবথেকে এগিয়ে। কিন্তু অনেকেই রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা রাখেনা। আজকের এই পোস্টে রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
চলুন তাহলে দেরি না করে ঝটপট রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই । উক্ত বিষয় সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।

ভূমিকা

রাঙ্গামাটি হলো বাংলাদেশের একটি জেলা।এটি চট্টগ্রাম বিভাগের অধীনে একটি জেলা। রাঙ্গামাটি জেলাটি পাহারি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য , উপকূলীয় নদীর সাথে খোলামেলা এলাকার জনপ্রিয় গন্ধবেলা, কাপ্তাই,সাজেক, কাউটালি, আরউক্ষণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার এলাকা। জেলাটি বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, প্রজাতি ও সাংস্কৃতিক ধারা। বাংলাদেশের ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান সমৃদ্ধ ও পাহাড়ের অপরুপ সৌন্দর্যে ঘেরা লাল মাটির দেশ এই রাঙ্গামাটি জেলা।


নদ-নদী,ঝর্ণাধারা ও উঁচু-নিচু পাহাড়ের বুকে আঁকাবাঁকা পথ মিশ্রিত এই এলাকা । এটি বাংলাদেশের বৃহৎ জেলা। এ জেলার উত্তরে ভারত ত্রিপুরা মিজোরাম, দক্ষিণে বান্দরবান, পূর্বে মিজোরাম, পশ্চিমে চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি এবং ২৫৬ (দুইশত ছাপ্পান্ন) বর্গমাইল আয়তনের দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম কাপ্তাই হ্রদটি অবস্থিত এ জেলায়ই।

রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থান

আগে থেকেই এ জেলা প্রাকৃতিক নিয়মে সজ্জিত থাকায় ও দর্শনীয় স্থানের দিক দিয়ে জনপ্রিয় হওয়ায় বর্তমানেও দেশ-বিদেশের নানা প্রান্তের লোকজনের সারাবছরই প্রচুর সমাগম ঘটে এই জেলায়। বৃষ্টিভরা ও কুয়াশাচ্ছন্ন ঋতুতে সবচেয়ে বেশি পর্যটকদের সমাগম ঘটে এই রাঙ্গামাটিতে। এখানে ঘুরতে এলে অবশ্যই আপনার হাতে ৩/৪ দিনের সময় নিয়ে আসা প্রয়োজন নাহলে কিছু দর্শনীয় স্থানগুলো দেখার ইচ্ছা থেকে যাবে। নিন্মোক্ত সকল দর্শনীয় স্থানগুলো সকল পর্যায়ের পর্যটকদের জনপ্রিয় তালিকার শীর্ষে রয়েছে।

শুভলং ঝর্ণা

শুভলং ঝর্ণা রাঙ্গামাটি জেলার একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় ঝর্ণা, যা অত্যন্ত চমৎকার দৃশ্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত। এই ঝর্ণাটির বর্ণনা নিম্নলিখিত সাথে যেতে পারে। শুভলং ঝর্ণা রাঙ্গামাটি জেলার পর্বতীয় এলাকায় অবস্থিত। এই ঝর্ণাটি জলপূরিত নদী ও নীরব পর্বতের সাথে মেলে যায়, এবং এটি একটি প্রাকৃতিক আশ্রয় দেয়। শুভলং ঝর্ণা একটি প্রাকৃতিক দৃশ্য সুন্দর্য যেখানে আপনি পার্বত্য প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। ঝর্ণাটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো এর উচ্চতা এবং জলপ্রপাতের সাথে এবং একটি নির্দিষ্ট স্থানে থাকা।ঝর্ণার স্থানীয়বাসী প্রতিবদ্ধ শান্তি এবং নীরবতা সংরক্ষণ করে রেখে থাকেন, এবং এই স্থানটি প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের আশ্রয় প্রদান করে।

ঝুলন্ত ব্রীজ

ঝুলন্ত ব্রীজ বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলায় অবস্থিত একটি ব্রীজ হোলো, যা একটি অত্যন্ত অদ্ভুত এবং প্রাকৃতিক পর্যটন আকর্ষণ। এই ব্রীজটি অদ্ভুত এবং ইউনিক ডিজাইনে তৈরি করা হয়েছে, এবং এটি একটি মেঘাচ্ছন্ন পাহাড়ে বানানো হয়েছে, যাতে পার্বত্য প্রকৃতির সৌন্দর্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশে হাঁটা জা সম্ভব হয়।ঝুলন্ত ব্রীজটি দুর্দান্ত পার্বত্য দৃশ্য, নদী, এবং সাঁজেকের সৌন্দর্য দেখতে অত্যন্ত উপযোগী। এই ব্রীজটির বিশেষ দিক হলো এটি একটি ঝুলন্ত ব্রীজ হিসেবে কাজ করে, অর্থাৎ এটি সাধারণ মসন্ও ব্রীজের সাথে তুলনা করে ব্যবহারকারীদের ঝুলন্ত মূল্যায়ন করে।ঝুলন্ত ব্রীজ একটি প্রাকৃতিক পর্যটন স্থান হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয়, এবং আগত পর্যটকদের মধ্যে এটি একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় গন্ধবেলা ও ফটোগ্রাফি স্পট।

আরন্যক হলিডে কটেজ

আরণ্যক হলিডে কটেজ বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলায় অবস্থিত একটি পর্যটন স্থান এবং সম্প্রসারণ। এটি প্রাকৃতিক পর্যায়ে অবস্থিত এবং পার্বত্য প্রকৃতির অভ্যন্তরীণ শান্তি ও নীরবতা অভয়ান্ত করে।আরণ্যক হলিডে কটেজ একটি ভ্রমণীয় স্থান, যেখানে আপনি স্বাস্থ্যকর প্রাকৃতিক পর্যায়ে থাকা অভ্যন্তরীণ পর্যটন অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারেন। কটেজটি পার্বত্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে অবস্থিত, এবং এটি দ্বিতীয় পৃষ্ঠে অবস্থিত পাহাড়ি দৃশ্য, ঘনবন্ধর, ওপেন স্পেস, এবং আরামদায়ক সহনীয় কোণে নির্মিত।

আরণ্যক হলিডে কটেজ আপনাকে প্রাকৃতিক পর্যটনের সুখ উপভোগ করতে সাহায্য করতে সাজানো হয়, এবং এখানে অবস্থানীয় খাবারের অদ্ভুত স্বাদ প্রদান করা হয়। এটি শান্তি, নীরবতা, এবং প্রাকৃতিক পর্যায়ে সময় পাবার জন্য একটি আদর্শ স্থান।অতএব, আরণ্যক হলিডে কটেজ আপনার পর্যটন অভিজ্ঞতাকে মন্নায়ন করতে সাহায্য করতে পারে এবং আপনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, শান্তি, এবং নীরবতা অভয়ান্ত করতে সাহায্য করতে পারে।
 
আরো পড়ুনঃ দূর্গা পূজার সময়সূচী ২০২৩ 

চাকমা রাজবাড়ী

চাকমা রাজবাড়ী অথবা চাকমা কিংডম, রাঙ্গামাটি বাংলাদেশে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক স্থান। এটি চট্টগ্রাম বিভাগের রাঙ্গামাটি জেলার উপজেলা হিসেবে পরিচিত।চাকমা রাজবাড়ীতে চাকমা জাতির ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক পরিচয় পাওয়া যায়। এই স্থানটি বহুপুরাণে প্রমাণিত হয়েছে। চাকমা রাজবাড়ীতে সুন্দর চাকমা শিল্প ও শিল্পীদের কাজ দেখতে পাওয়া যায়।এই রাজবাড়ীটি তাদের ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক পরিচয় অবলম্বন করে থাকে। এখানে আপনি চাকমা জাতির সাংস্কৃতিক উপাদান, বস্তু এবং লাইফস্টাইল পাবেন।চাকমা রাজবাড়ী একটি মৌলিক পর্যটন গন্ধবেলার একটি উপাদান হিসেবে চলে এসেছে, যা তাদের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ধর্মের একটি অংশ।

রাজবন বিহার

রাজবন বিহার বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের রাঙ্গামাটি জেলায় অবস্থিত একটি ধর্মিক স্থান। এটি বৌদ্ধ ধর্মের একটি প্রাচীন বিহার হিসেবে পরিচিত। রাজবন বিহার একটি মহাবিহার হয়ে থাকতে পারে, এবং এটি বৌদ্ধ ভিক্ষুদের জন্য একটি মৌলিক ধর্ম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল।এই বিহারটি প্রথমত কৃষ্ণচুর নামে পরিচিত ছিল। পরে এটি চাকমা রাজা দ্বারা নাম পায়ে রাজবন বিহার হয়ে উঠেছিল। এই বিহারে একটি বড় প্রাচীন শিলালিপি আবিষ্কৃত হয়েছে, যা দেশের প্রাচীন ঐতিহাসিক ধর্মীয় জীবনের সাক্ষী।

এটি একটি প্রাচীন স্থান হিসেবে পরিচিত, যেখানে বৌদ্ধ শিল্প ও সংস্কৃতি উন্নতি পেয়েছিল। চিত্রশীল দেওয়ারে রয়েছে প্রাচীন শিলালিপি, চৈত্য এবং তার চারপাশে বৌদ্ধ মূর্তি রয়েছে। এই স্থানটি বৌদ্ধ যাত্রীদের জন্য একটি প্রধান ধর্মীয় মন্দির ছিল এবং এখন এটি একটি প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে পরিচিত।এই স্থানে প্রতিবছর বৌদ্ধ পূর্ণিমা উৎসব উদযাপিত হয় এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায় এখানে আসে যেখানে ধর্মিক অনুষ্ঠান ও প্রার্থনা করে।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url